ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আনা হলো নতুন পশু-পাখি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::   এবারের ঈদে ভ্রমণ পিপাসু দেশী-বিদেশী পর্যটক-দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে নতুন করে সাজানো হচ্ছে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ককে। এজন্য নতুন করে পার্কে আনা হয়েছে হরেক প্রজাতির পাখি ও বন্যপ্রাণি।
তম্মধ্যে ১০টি ময়ূঁর, আফ্রিকান গ্রে-প্যাটে, এশিয়াটিক ভল্লূকের দুটি বাচ্চা, দীর্ঘ ১৬ ফুট লম্বা সোনালী অজগর, একটি চিত্রা হরিণ। এছাড়াও পার্কে দেশী-বিদেশী বন্যপ্রাণির সমাহার তো রয়েছেই। সবকিছু মিলিয়ে এবারের ঈদে পার্ক ভ্রমণ আগেকার চাইতে আনন্দের ও উৎসবমুখর হয়ে উঠবে। সেই লক্ষ্যেই পার্ক কর্তৃপক্ষ সবকিছু গুঁছিয়ে নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গতকাল দুপুরে পার্কে গিয়ে দেখা গেছে, পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোদের মধ্যেও সামনের ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থাপনা ও বন্যপ্রাণির বেষ্টনী ঝাড়-মোছা করছেন। এ সময় তারা জানিয়েছেন, এবারের ঈদে পার্কে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পার্ক ভ্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করতে সবকিছু নতুন করে সাজাচ্ছেন।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাকৃতিকভাবে সৃজিত প্রায় ৯শ হেক্টর বনভূমি নিয়ে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেই বলতে কোন কথা নেই। এখানে রয়েছে দেশের প্রথম প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র, নয়নাভিরাম দীর্ঘ লেক, কুমিরের বেষ্টনী। এছাড়াও রয়েছে বাঘ, সিংহ, জেব্রা, উল্টালেজী বানর, ঈগল পাখি, জলহস্তি, ওয়াইল্ডবিষ্ট, ভল্লুক, কালো শিয়াল, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, বানর, লামচিতা, হাতি, তমগরু (গয়াল) সহ কয়েকশ প্রজাতির বন্যপ্রাণি ও পশু-পাখি।
সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণি পরিচালক ড্রেসার দিদারুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে জানান, ঈদে আগত দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দেবে পার্কের বন্যপ্রাণি ও পশু-পাখিগুলো। সেজন্য নতুন করে এসব প্রাণির বেষ্টনীগুলোকে নতুন করে সাজানোর কাজ করছি আমরা।
এদিকে দীর্ঘ এক বছর পর্যন্ত সাফারি পার্কের গেইট পাবলিক প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া বন্ধ ছিল। তবে এবার নতুন করে পার্কের গেইট (পার্কে প্রবেশের টিকেট বিক্রির ইজারাদার) ইজারা দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, সরকারি সকল ধরনের নিয়ম এবং শর্তাবলী রক্ষা করেই নতুন ইজারাদার নিয়োগ দিয়ে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক গত শনিবার থেকে নতুন ইজারাদার পার্কে আগত দর্শনার্থীদের টিকেট বিক্রি করেছেন।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তত্ত্বাবধায়ক) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে জানান, এবারের ঈদে পার্কে আগত দেশী-বিদেশী দর্শনার্থীরা পার্ক ভ্রমণ করে বেশ আনন্দ পাবে। এজন্য আগে থেকেই সকল ধরণের প্রস্তুতি এবং পার্কে নতুন নতুন বন্যপ্রাণি ও পাখি আনা হয়েছে। তম্মধ্যে প্রথমবারের মতো আফ্রিকান গ্রে-প্যারট, নতুন ১০টি ময়ূঁর, দীর্ঘ ১৬ ফুট লম্বা সোনালী অজগর, এশিয়াটিক দুটি ভল্লুকের বাচ্চা পার্কে আনা হয়েছে। এছাড়াও আগে থেকে অসংখ্য বন্যপ্রাণি ও পশু-পাখির সমাহার তো রয়েছেই। এত সবকিছু মিলিয়ে এবারের পার্ক ভ্রমণ বেশ আনন্দদায়ক হবে দেশী-বিদেশী পর্যটক-দর্শনার্থীদের জন্য।
সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক এবং চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, প্রতিবছর রমজানের ঈদে পর্যটক-দর্শনার্থীদের পার্ক ভ্রমণের সময় নতুন কিছু যাতে উপভোগ করতে পারে সেজন্য আমাদের জোর চেষ্টা থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পার্কে নতুন নতুন বন্যপ্রাণি ও পশু-পাখির সমাহার ঘটানো হয়েছে। এতে আগত দর্শনার্থীরাও মনের আনন্দে পার্ক ভ্রমণ করতে পারবে। সেভাবেই আমাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: